হাওড়া নিবাসী বৈজ্ঞানিক এবং পেশাগতভাবে ইঞ্জিনিয়ার ডক্টর রমেন্দ্র লাল মুখোপাধ্যায় একটি ভেন্টিলেটর আবিষ্কার করেছেন। এই অতিমারিরির সময় যাদের মাক্স পড়ার জন্য শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় তাদের জন্যই মূলত এই আবিষ্কার । তিনি এই ভেন্টিলেটরের নাম দিয়েছেন Pocket ventilator।
রমেন্দ্র লাল বাবুর দাবি এই ভেন্টিলেটরে বাতাসে থাকা ভাইরাস তো আটকাবেই এই তার সাথে শরীরে প্রবেশ করতে দেবেনা দূষিত কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে। এই ভেন্টিলেটরের কাজ মূলত ভাইরাস প্রতিরোধ করা এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড কেউ রোধ করে শরীরে বিশুদ্ধ বাতাস প্রবেশ করতে সাহায্য করা।
Table of Contents
কিভাবে কাজ করবে এই Pocket Ventilator ?
দুটি অংশে বিভক্ত ১ পকেট ইউনিট, ২ মাস্ক ইউনিট।
পকেট ইউনিট
প্রথম পকেট ইউনিটটি মূলত একটি রেগুলেটর সিস্টেম যার মধ্যে রয়েছে একটি ব্যাটারি যেটার সাহায্যে কাজ করে ভেন্টিলেটর। ব্যাটারি চার্জ করা যায় মোবাইল চার্জার এর সাহায্যে। একবার চার্জ দিলে ব্যবহার করা যাবে ৮ ঘন্টার মতন।
মাস্ক ইউনিট
দ্বিতীয় ইউনিটি অর্থাৎ মাস্ক আমাদের মুখে পড়তে হবে এবং এই ইউনিট এর মধ্যে দিয়েই বাতাস এসে আমাদের মাক্স এর মধ্যে প্রবেশ করবে বাইরের কোন বাতাস এই মস্কে প্রবেশ করবে না। যখন আমরা নিঃশ্বাস ছাড়বো তখনও আমাদের দেহ থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড ফিরে যাবে না বাতাসে, সেই দূষিত কার্বন-ডাই-অক্সাইড এই ইউনিট ধ্বংস করে দেবে।
কারা ব্যবহার করতে পারবেন এই Pocket Ventilator ?
সাধারণ লোক এই মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন, এছাড়াও যারা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তাদের জন্য এই মমাস্কটি খুবই উপযোগী। তখন ইউনিট ওয়ান এর ব্যাটারি কাজ করবে ততক্ষণ ঠিকভাবে কাজ করবে এই মাস্ক ইউনিটটি।
কত দাম এই Pocket Ventilator এর?
এই Pocket Ventilator টি এখনই বাজারে উপলব্ধ নয়। তবে বাজারে পাওয়া যাবে কিছু দিন পরেই এমনটাই জানা যাচ্ছে।
Covid 19 Mask Invented by Bengali School Student
সারা পৃথিবীতে যখন আমরা এই covid 19 অতিমারিতে প্রায় সবাই ভুক্তভোগী, জানিনা কবে আমরা এই অতি মানি থেকে মুক্তি পাবো সেই পরিস্থিতিতে একজন বাঙালি বৈজ্ঞানিকের এইরকম একটি আবিষ্কার বাঙালি হিসেবে আমাদের তো গর্বিত করেছে তার সাথে সারা পৃথিবীতে এরকম আবিষ্কার দ্বিতীয় টি আর নেই।
টিম বাংলা ব্লগ নিউজ এর তরফ থেকে বৈজ্ঞানিক রমেন্দ্র লাল মুখোপাধ্যায় কে জানানো হচ্ছে আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং শ্রদ্ধা।